‘আমরা চাই না, শিশুরা অকালে ঝরে যাক। শিশুরা গড়ে উঠুক সুন্দর পরিবেশে, আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদা নিয়ে। বাংলাদেশকে আমরা সেভাবে গড়ে তুলতে চাই।’ শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার (১৮ অক্টোবর) আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭১ ও ৭৫ শিশুদেরও হত্যা করেছে ঘাতকরা। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে ২০০১ সালের নির্বাচনে।
আবার ২০১৩ সালে বাসে আগুন দিয়ে শিশুসহ মানুষ পুড়িয়ে হত্যার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। আমরা এটা চাই না, শিশুরা অকালে ঝরে যাক। শিশুরা গড়ে উঠুক সুন্দর পরিবেশে। বাংলাদেশকে আমরা সেভাবে গড়ে তুলতে চাই।’ প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘শিশুরা আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদা নিয়ে গড়ে উঠুক। তাদের প্রতিভা বিকশিত হোক।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করুক। আধুনিক বিজ্ঞান প্রযুক্তি শিক্ষায় নিজেদের উন্নত করে গড়ে তুলুক, সেটাই আমরা চাই।’ ছোট ভাই রাসেলের স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাসেল ছোটবেলা থেকে বাচ্চাদের নিয়ে প্যারেড করতো। সে বড় ভাই শেখ জামালের মতো সেনা অফিসার হতে চাইতো। বেঁচে থাকলে আজকে হয়তো সেনাবাহিনীর বড় অফিসার হতো।’ ৭৫-এর হত্যাকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন,
‘সেদিন রাসেল মায়ের কাছে যাবো বলে কান্না করছিল। তাকেও হত্যা করা হলো। আমার একটাই প্রশ্ন এ শিশুটির কী অপরাধ ছিল?’ এসময় শিশু-কিশোরদের উদ্দেশ্য প্রধানমন্ত্রী বলেন, তোমরা মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করবে। শিক্ষা এমন এক সম্পদ কেউ নিতে পারবে না।
অনুষ্ঠানে শিশু রাসেলের নামকরণের ইতিহাস তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘আমাদের পরিবারে পাঠাভ্যাস ভালো ছিল। সবাই বই পড়তো, পড়ে শোনাতো। আব্বা নোবেল লরিয়েট বার্ট্রান্ড রাসেলের ফিলোসোফি মাকে শোনাতেন। তার ফিলোসোফি ব্যাখ্যা করতেন। তিনিও সেটা মনোযোগ দিয়ে শুনতেন। সে থেকে তার নাম রাসেল রাখা হয়।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।